নিজস্ব সংবাদদাতা:ক্ষুদিরাম বসু, কবি সুকান্ত, মালালা ইউসুফজাই কিংবা পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ প্রত্যেকেই তারুণ্যে পরিচিত হয়েছেন গোটা বিশ্বে। নিজেদের কর্মে মন জয় করে তারুণ্যেই অমরত্ব লাভ করেছেন।
তারুণ্যের উন্মাদনায় সকলেই গা ভাসিয়ে দেয় না, কেউ কেউ পথ দেখায়। ডেঙ্গু রোধে কিশোরগঞ্জ নামে গড়ে উঠা সামাজিক আন্দোলন এখন সত্যিই অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্কুল কলেজ বন্ধ, করোনা মহামারীতে স্তব্ধ গোটা জনপদ! বর্ষা কড়া নাড়ছে আমাদের বাংলাদেশে। এই সময়ে প্রতি বছর ডেঙ্গু হয়ে উঠে মূর্তিমান আতঙ্ক! কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এর স্বেচ্ছাবেসী ভাইয়েরা ইতিমধ্যেই ১৮ জুন নিজেদের এলাকায় ডেঙ্গু মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। আমি আপনাদের স্যালুট জানাচ্ছি।
কিছু ছবি দিচ্ছি দেখুন, মন ভালো হয়ে যাবে। যে তারুণ্য নিয়ে আমাদের অনেক ক্ষোভ, তারা বেয়াদব তারা বেপরোয়া! দেখুন আজ তারা কতোটা বিনয়ী, কতোটাই আগ্রাসী তাদের সামাজিক কর্মতৎপরতায়। তারুণ্যের এই সংস্কৃতি একটি নতুন ধারা সূচনা করেছে। আমি বিশ্বাস করি অনাগত প্রজন্ম এই সামাজিক উদ্যোগকে আরো দূর নিয়ে যাবে।
তারা ময়লা ঘেঁটে সাফ করছে জঞ্জাল। এই ছবি গুলো দেখে আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর কখনোই রাস্তায়, ড্রেনে কিংবা জানালা দিয়ে ময়লা ফেলবো না। আমি যদিও তা কখনোই করি না।
আমাদের আশেপাশে বাড়ির আঙ্গিনায়, ছাদে কিংবা কার্নিশে, ফ্রীজের ট্রেতে, টায়ারে, ভাঙ্গা প্লেট, ফুলের টবে স্বচ্ছ জল না জমতে দেই। তিন দিন অবশ্যই এই সব স্থানে যেন পানি জমে না থাকে।